এক নজরে পরিচিতি

বিদ্যালয়ের নীতিমালা

(ক) ভর্তি সংক্রান্তঃ
১। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা বর্ষের প্রারম্ভে নির্ধারিত তারিখে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি ফরম গ্রহণের জন্য পিতা-মাতাকে অবশ্যই স্কুলে আসতে হবে।
২। মেধানুযায়ী যোগ্যতর ছাত্রই শুধুমাত্র ভর্তি হবার সুযোগ পাবে। শ্রেণীর আসন সংখ্যা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তে সীমিত সংখ্যক ছাত্র ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
৩। কোন সংরক্ষিত আসন নেই।
৪। ভর্তির সময় ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ ব্যয়ে ও দায়িত্বে আসতে হবে।
৫। ভর্তির জন্য নিম্ন লিখিত কাগজ-পত্রাদি সঙ্গে আনতে হবে-
ক) পূর্ব বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র ও প্রগতি পত্র।
খ) সদ্য তোলা ১ কপি পার্সপোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
গ) সরকারী জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র।

(খ) বিদ্যালয়ের পাওনাঃ
১। পূর্ব ঘোষণা ব্যতীত প্রতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে প্রত্যেক ছাত্রকে মাসিক বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় প্রতি মাসের ১০(দশ) টাকা বিলম্ব ফি দিতে হবে।
২। প্রধান শিক্ষকের পূর্ব অনুমতি ব্যতীত কোন ছাত্র পরপর দুই বা ততোধিক মাসের বেতন পরিশোধে ব্যর্ হলে শ্রেণী রেজিষ্টারে/হাজিরা খাতায় তার নাম থাকবে না।
৩। পরবর্তীতে ১০ (দশ) (প্রতি মাসের জন্য) টাকা বিলম্ব ফি সহ বিদ্যালয়ের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করলে পুনরায় তার নাম রেজিষ্টারভুক্ত হবে।
৪। শ্রেণী রেজিষ্টারে/হাজিরা খাতায় নাম না থাকাকালীন সময় অনুপস্তিত বলে গণ্য হবে।
৫। প্রত্যেক ছাত্রকে জানুয়ারী হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের বেতন পরিশোধ করতে হবে। অনুপস্থিতির জন্য মাসিক বেতন কমতি/হ্রাস হবে না।
৬। প্রত্যেক ছাত্রকে প্রতিটি পরীক্ষার পূর্বে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশিত মাস পর্যন্ত ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীকে বেতনসহ সমুদয় পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সমাপনী পরীক্ষার পূর্বে ছাত্র-ছাত্রীদের সকল পাওনাদি পরিশোধযোগ্য।
৭। বিদ্যালয় হতে প্রশংসাপত্র, ছাড়পত্র গ্রহণ করলেও অবশ্যই সমুদয় পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

(গ) পরীক্ষা সংক্রান্তঃ শ্রেণী পরীক্ষা (Quiz)
১। প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার পূর্বে প্রতি বিষয়ে দু’টি শ্রেণী পরীক্ষা হবে।
২। প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি পরীক্ষায় মান ১০ এবং পূর্ণমান ২০।
৩। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পূর্বে প্রত্যেক পিতা-মাতা/ অভিভাবককে তার সন্তানের পড়াশোনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

(ঘ) সময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষাঃ
১। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক ও বার্ষিক তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০।
২। প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীকে প্রতিটি পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করতে হবে।
৩। উপযুক্ত/নির্ভরযোগ্য কারণ বা প্রধান শিক্ষকের অনুমোদন/সম্মতি ব্যতীত কোন ছাত্র/ছাত্রী যে কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলে, কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার সহানুভূতি পাবে না।
৪। Double promotion or mind year promotion এর জন্য কোন অনুরোধ চলবে না।
৫। তিনটি পরীক্ষার গড় নম্বরের উপর প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীর কৃতকার্যতা নির্ভর করবে।
৬। প্রথম ও দ্বিতীয় সময়িক পরীক্ষার প্রগতি পত্র প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবকের নিকট দেয়া হবে।
৭। প্রগতি পত্র প্রধান শিক্ষকের নির্দেশিত তারিখ মোতাবেক শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।
৮। প্রগতি পত্র হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে নতুন প্রগতি পত্র পেতে ২৫ টাকা জরিমানাসহ আবেদন করতে হবে।
৯। প্রগতি পত্রে ছাত্র নিজে কিছু লিখলে বা ঘষা-মাঝা করলে প্রগতিপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং নতুন প্রগতি পত্র পেতে হলে ১০০ টাকা জরিমানাসহ আবেদন করতে হবে।
১০। ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত কোন ছাত্র/ছাত্রী কোন শ্রেণীতে অকৃতকার্য হলে, সে অত্র বিদ্যালয়ে পড়ার আর একবার সুযোগ পাবে। কিন্তু দ্বিতীয় বার অকৃতকার্য হলে তাকে বিদ্যালয়ে রাখা হবে না।
১১। যে কোন ছাত্র/ছাত্রীর পাশ ফেল-এর ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পরবর্তীতে কোন সুপারিশ চলবে না।
১২। যে কোন ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় নকল করলে বা নকলের কোন আলামতসহ ধরা পড়লে, তাকে ঐ বৎসর একই ক্লাসে থাকতে হবে।

(ঙ) বিদ্যালয়ের পোশাকঃ
১। বিদ্যালয়ের কার্যদিবসে এবং বিদ্যালয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানে প্রত্যেককে স্কুলের পোশাক পরিধান করতে হবে।
২। ছাত্রীদের জন্য নীল ফ্রক ও সালোয়ার, সাদা বেল্ট, সাদা ওড়না, সাদা ফিতা ও সাদা জুতা।
৩। ছাত্রদের জন্য সাদা শার্ট, নেভি বু প্যান্ট, সাদা জুতা ও কালো বেল্ট।
৪। প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রী তার চুল ও নোখ ছোট রাখবে। প্রত্যেককে পোশাক ও শারীরিকভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত রুচি সম্মত থাকতে হবে।
৫। মাথায় কোন বিশেষ টুপি এবং হাতে, গলায় কোন স্বর্ণালংকার বা কোন ধরণের বেল্ট, বালা বা ব্যাসলেট পরিধান করা চলবে না।
৬। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ব্যতীত কেউ মাথা ন্যাড়া করতে পারবে না। কিংবা চুল অতিরিক্ত লম্বা রাখতে পারবে না।

(চ) অনুপস্থিতিঃ
১। যে কোন ধরণের ছুটির প্রয়োজনে পিতা-মাতাকে কারণ উল্লেখ করে ছাত্রের দৈনন্দিন ঘটনা লেখার বইতে স্বাক্ষর করতে হবে। ছোট-খাট কোন কারণে বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ছুটি পাবে না।
২। নিজ ভাই-বোন বা নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের জন্য একজন ছাত্র-ছাত্রী ১ দিনের ছুটি পাবে। বেশী দিনের ছুটি পেতে প্রধান শিক্ষকের পূর্ব অনুমতি লাগবে।
৩। কঠিন রোগে আক্রান্ত ছাত্র/ছাত্রীকে সুস্থ হলে চিকিৎসকের প্রত্যয়ন পত্র সহ ছুটির আবেদন করতে হবে। হঠাৎ অসুস্থতার সংবাদ যথাশীঘ্র বিদ্যালয়ে জানাতে হবে।
৪। অজ্ঞাত অবস্থায় কিংবা পূর্ব অনুমতি ব্যতীত একটানা ৭ দিনের বেশি অনুপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীর নাম রেজিষ্টারে/হাজিরা খাতায় থাকবে না। এরূপ ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনার ইচ্ছা থাকলে পুনঃভর্তি হতে হবে।
৫। স্কুল পালানো কোন ছাত্র-ছাত্রী শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে শ্রেণীকক্ষে বসতে পারবে।

(ছ) শৃঙ্খলা ও উন্নতিঃ
১। প্রত্যেক অভিভাবকের নিজ সন্তানদের নিয়মিত লেখাপড়ার প্রতি সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতিদিন বাড়িতে কমপক্ষে দুই থেকে চার ঘন্টা মনোযোগসহ লেখাপড়া করতে হবে।
২। যে কোন ছাত্র-ছাত্রীর অবাধ্যতা, পাঠে অনীহা, অনিয়মিত উপস্থিত অশোভন উশৃঙ্খলতা বা সার্বিক উন্নতির পরিপন্থী কোন আচরণ পরিদৃষ্ট হলে/লক্ষ করা গেলে Detention দেওয়া হবে এবং স্কুল জীবনে দু’বার Detention পেলে ছাড় পত্র (T.C) দেওয়া হবে।
৩।  যে কোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে বা উশৃঙ্খলতা বশতঃ বিদ্যালয়ের কোন আসবাপত্র বা সম্পদ নষ্ট করলে উহার ক্ষতিপূরণ না করা পর্যন্ত তাকে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি থাকা হতে সাময়িকভাবে বিরত/স্থগিত রাখা হবে।
৪। কোন ছাত্র-ছাত্রী মোবাইল ফোন কিংবা কোন আপত্তিকর বই, পুস্তক, ছবি বা সাময়িক পত্রিকা বিদ্যালয়ে আনতে বা সাথে রাখতে পারবে না।
৫। বিদ্যালয়ের নামে কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন রাজনৈতিক দলে জড়িত হলে তাকে বিদ্যালয় পরিত্যাগ করতে হবে বা তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
৬। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোন ছাত্র-ছাত্রী তার বন্ধু বা আত্মীয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।

(জ) সহ পাঠক্রমিক কার্যাবলিঃ
১। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত দৈনিক সমাবেশ (Assembly), শারীরিক অনুশীলন, আন্ত শ্রেণী খেলা এবং অন্যান্য সহযোগী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক।
২। বিদ্যালয়ে বা দূরে অনুষ্ঠিত যে কোন অনুষ্ঠান/অনুশীলন আন্তঃ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণেও বিদ্যালয়ের নির্দেশ মানতে হবে।
৩। বিদ্যালয়ের স্কাউট দল/গার্লস গাইড ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে এর যাবতীয় কর্মকান্ডে ও সভায় নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে। অন্যথায় নিয়মানুযায়ী শাস্তি পেতে হবে/পাবে।

(ঝ) অসুস্থতা/ হারানোঃ
১। কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হলে রোগ আরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসবে না।
২। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকেই নিজ নিজ জিনিসের প্রতি সর্তক থাকতে হবে। অসাবধানতা বশতঃ কোন কিছু হারালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৩। অসাবধানতার কারণে বিদ্যালয়ে বা বিদ্যালয় হইতে বাড়িতে যাতায়াত সময়ে পথে কোন দুর্ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৪। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময় ছাড়া বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বাহিরে কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন দুর্ঘটনায় পড়লে বা হারিয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী হবে না।

(সাক্ষাৎ  Counseling
ছাত্রছাত্রীর কল্যাণে যে কোন সমস্যা সমাধানে প্রত্যেক পিতামাতা স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন মত যে কোন শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষকএর সাথে মুক্ত আলোচনার সুযোগ পাবেন। একই সাথে প্রয়োজনানুসারে ছাত্রছাত্রীর জন্য Counseling এর ব্যবস্থা থাকবে।

প্রধান শিক্ষকের বিশেষ ক্ষমতাঃ
সর্বতোভাবেএমনকি যা নীতিমালাভূক্ত হয়নি এবং সর্বোপরি বিদ্যালয়ের সমুদয় কর্মকান্ডে প্রধান শিক্ষক এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড  নাটকঃ
বিদ্যালয়ে দুধরণের শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে– পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা  পাঠ্যপুস্তক বহিঃর্ভূত সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী। সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী বা co-curricular activities পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষার পরিপন্থী নয় বরং সহায়ক। সহশিক্ষাক্রমিক কার্যবলীতে অংশগ্রহণ করলে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশিত হয়।  জন্য সহশিক্ষাক্রমিক কার্যাবলী শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড  নাটক সহশিক্ষক্রমিক কার্যবলীর অন্তর্গত। আমাদের বিদ্যালয়ে যে সব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অনুশীলন করা হয় তার মধ্যে আছে বিভিন্ন রকমের গান, একক নৃত্য, দ্বৈত নৃত্য, একক অভিনয়, কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

ড) বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞানাগারঃ
বিজ্ঞান সচেতন সমাজ ও দেশ গড়ার লক্ষ্যে অত্র বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিজ্ঞান মেলা ও প্রযুক্তি সপ্তাহ পালিত হয়। বিজ্ঞান মেলার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান সচেতনতা এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক আমদানীর বিকল্প প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহায়তা ও উৎসাহ দান করতে পারে। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য বিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞানাগার রয়েছে। যার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞান বিষয়ে ব্যবহারিক ক্লাস করার সুযোগ পায়।

ঢ) লাইব্রেরীঃ
বিদ্যালয়ে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী আছে। এতে বিভিন্ন প্রসিদ্ধ লেখকদের গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী, গবেষণামূলক বই, ইতিহাস, সাইন্স ফিকশন, গণিত বিষয়ক প্রভৃতি বই আছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পছন্দ মত সপ্তাহে ১/২ টি বই বাড়ীতে নিয়ে পড়তে পারে।

ণ) বিতর্কঃ
শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের আত্মবিকাশ ও প্রকাশের জন্য বিতর্কের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাঝে ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্তিবাদীতা শক্তির বিকাশ ঘটে। প্রতিযোগিতার ফলে শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা দানের ক্ষেত্রে মুখের জড়তা কাটে এবং বাক্ শক্তির স্ফুরণ ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে অজানা তথ্য জানার এবং সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।

* বার্ষিকী ও দেয়ালিকাঃ
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখনী শক্তির বিকাশ ঘটানোর জন্য প্রতি বছর বার্ষিকী ‘প্রণোদন’ প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষুদে লেখকগণ তাদের লেখনী শক্তিকে বিকশিত এবং সুপ্ত প্রতিভাবে বিকাশিত করার সুযোগ পায়।

* খেলাধুলাঃ
কথায় আছে সুস্থ দেহ সুস্থ মন। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভাল থাকে। আর খেলাধুলা সুস্থ শরীর গঠনের চাবিকাঠি। অত্র বিদ্যালয়ে প্রতি বছরই বিভিন্ন প্রকার খেলাধূলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পুরষ্কার পাওয়া বড় কথা নয়, অংশগ্রহণ করাই বড়। কারণ এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সুষ্ঠ প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠে। খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের দেহ ও মন উভয়ই সতেজ থাকে।

* শিক্ষা সফরঃ
বিদ্যালয়ে প্রতিবছর দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পড়াশুনায় একঘেয়েমী দূর হয় এবং পাঠে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারে। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে পারে।